দরিদ্র দেশগুলোতে টিকা সরবরাহ নিশ্চিতে পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারিত্বে প্রতিষ্ঠিত বৈশ্বিক জোট গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন গ্যাভির মাধ্যমে বাংলাদেশকে মর্ডানার ২৫ লাখ টিকা দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
শনিবার (২৬ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার।
Pleased to announce 🇧🇩 will soon receive a gift of 2.5 million doses of Moderna COVID-19 vaccine from the American people via @gavi. As the largest contributor to #COVAX, the U.S. is committed to increasing the country’s vaccine supply to beat the pandemic here and worldwide. pic.twitter.com/durDLQMtb3
— Earl R. Miller (@USAmbBangladesh) June 26, 2021
রাষ্ট্রদূত টুইটে লিখেছেন, আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি মার্কিন জনগণ গ্যাভির মাধ্যমে বাংলাদেশকে মডার্নার ২৫ লাখ ডোজ করোনার টিকা দেবে।
কোভ্যাক্সের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী হিসেবে করোনা মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে টিকার সরবরাহ বাড়ানোর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ।
এর আগে শুক্রবার (২৫ জুন) বিশ্বজুড়ে টিকা সরবরাহের আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে পাঠানো যুক্তরাষ্ট্রের মডার্নার তৈরি করোনার ২৫ লাখ ডোজ টিকা সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
প্রসঙ্গত কোভ্যাক্স মাধ্যমে এবং সরাসরি বিভিন্ন দেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বরাদ্দ হওয়া তিন কোটি টিকার তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ।
গত ২২ শে জুন হোয়াইট হাউস করোনার টিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশের পাশাপাশি এশিয়ার ১৮ টি দেশকে নুতন করে এক কোটি ৬০ লাখ টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
এ ছাড়া বিশ্বের আরও ৩০ টি দেশ ও জোটকে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যে এক কোটি ৪০ লাখ টিকা দেবে সেই তালিকায়ও রয়েছে বাংলাদেশ।
৩রা জুন হোয়াইট হাউস আড়াই কোটি টিকা বণ্টনের ঘোষণা দিয়েছে।
সেখানে এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ৭০ লাখ টিকা রাখা হয়েছে। যার মধ্যেও রয়েছে বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্র তার মজুত থেকে যে টিকা সরবরাহ করবে তা হবে ফাইজার, মর্ডানা ও জনসন অ্যান্ড জনসনের উৎপাদিত।
তবে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) অনুমোদন পেলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার উৎপাদিত করোনাভাইরাসের টিকাও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে আশা করছে ঢাকা।
উল্লেখ্য, মডার্নার টিকা ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সের মানুষকে দেওয়া যায়। প্রত্যেককে এই টিকা দুই ডোজ করে দিতে হয়। প্রথম ডোজ দেওয়ার ২৮ দিন পর দিতে হবে দ্বিতীয় ডোজ।
এই টিকা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ৯৪ দশমিক ১ শতাংশ পর্যন্ত বলছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। করোনাভাইরাসের দুটি ধরন B.1.1.7 এবং 501Y.V2 এর বিরুদ্ধেও এই টিকা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।